উত্তরঃ তথ্য অধিকার আইনের ধারা ২ (ক) অনুসারে তথ্য প্রদান ইউনিটের অব্যবহিত ঊর্ধ্বতন কার্যালয়ের প্রশাসনিক প্রধান অথবা তথ্য প্রদান ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কার্যালয় না থাকলে, উক্ত তথ্য প্রদান ইউনিটের প্রশাসনিক প্রধান হবেন আপীল কর্তৃপক্ষ।
উত্তরঃ তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ ধারা ২(খ) ও ২(ঘ) অনুসারে নিম্নলিখিত সংস্থা/প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্র, বিভাগ, জেলা ও সর্বনিম্ন উপজিলা পর্যায়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে হবে। যথাঃ
(ক) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে সৃষ্ট কোন সংস্থা;
(খ) বাংলাদেশ সংবিধানের ৫৫(৬) অনুচ্ছেদের অধীন প্রণীত কার্য বিধিমালার অধীন গঠিত সরকারের কোন মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা কার্যালয়;
(গ) কোন সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান;
(ঘ) সরকারী অর্থায়ানে পরিচালিত বা সরকারী তহবিল হতে সাহায্য পুষ্ট কোন বেসরকারী সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান;
(ঙ) বিদেশী সাহায্য পুষ্ট কোন বেসরকারী সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান;
(চ) সরকারের পক্ষে অথবা সরকার বা সরকারী কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পাদিত চুক্তি মোতাবেক সরকারী কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন বেসরকারী সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান;
(ছ) সরকার কর্তৃক সময় সময়, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা নির্ধারিত অন্য কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান।
উত্তরঃ তথ্য অধিকার আইনের ধারা ২(খ) এর (অ) অনুসারে বিচার বিভাগ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী সৃষ্ট সংস্থা। ধারা ৯ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছ থেকে আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে তথ্য পাওয়া যাবে।
উত্তরঃ তথ্য অধিকার আইনের ধারা ২(ঝ) অনুযায়ী তৃতীয় পক্ষ অর্থ তথ্য প্রাপ্তির জন্য অনুরোধকারী বা তথ্য প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ ব্যতীত অনুরোধকৃত তথ্যের সাথে জড়িত অন্য কোন পক্ষ। আইন অনুযায়ী এর যৌক্তিকতা রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ভূমি সংক্রান্ত তথ্যের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর সঙ্গে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রার এর নাম আসতে পারে।
উত্তরঃ ১৯২৩ সালের গোপনীয় আইনের যে সব ধারা তথ্য প্রদানে বাধা হিসেবে চিহ্নিত হবে, সেই সকল ক্ষেত্রে তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ প্রাধান্য পাবে (ধারাঃ ৩)।
উত্তরঃ এ আইনের ধারা ৯ (৪) অনুসারে কোন ব্যক্তির জীবন-মৃত্যু, গ্রেফতার এবং কারাগার হতে মুক্তি সম্পর্কিত তথ্য চাওয়া হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অনুরোধ প্রাপ্তির অনধিক ২৪ (চবিবশ) ঘন্টার মধ্যে প্রাথমিক তথ্য সরবরাহ করবেন।
উত্তরঃ এই আইনের ধারা ৪ অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের তথ্য লাভের অধিকার রয়েছে এবং কোন নাগরিকের অনুরোধের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তথ্য সরবরাহ করতে বাধ্য। এই আইনে নির্দিষ্ট করে নারী ও শিশুর কথা বলা হয়নি।
উত্তরঃ এই আইনের ধারা ৪ অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের তথ্য লাভের অধিকার রয়েছে এবং কোন নাগরিকের অনুরোধের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তথ্য সরবরাহ করতে বাধ্য। সবার জন্য আইন সমান। এই আইনে নির্দিষ্ট করে গরীব নিরক্ষর মহিলার কথা বলা হয়নি। তবে আবেদনকারিনী নিরক্ষর হলে তিনি প্রচলিত নিয়মানুযায়ী টিপসহি দিয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য আবেদন দাখিল করতে পারবেন।
উত্তরঃ তথ্য অধিকার (তথ্য প্রাপ্তি সংক্রান্ত) বিধিমালা, ২০০৯ এর বিধি ৪ (৫) অনুসারে প্রদত্ত তথ্যের প্রতি পৃষ্ঠায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার প্রত্যয়ন করা থাকবে এবং তাতে প্রত্যয়নকারী কর্মকর্তার নাম, পদবী, স্বাক্ষর ও দাপ্তরিক সীল থাকবে। সেক্ষেত্রে কারও তথ্য বিকৃত করে প্রচার করার কোন সুযোগ নেই।
উত্তরঃ এই আইনের ধারা ২ (চ) তে তথ্যের সংজ্ঞায় সুস্পষ্ট ভাবে প্রকারভেদের উল্লেখ রয়েছে। যেমন, ‘‘তথ্য অর্থে কোন কর্তৃপক্ষের গঠন কাঠামো ও দাপ্তরিক কর্মকান্ড সংক্রান্ত যে কোন স্মারক, বই, নকশা, মানচিত্র, চুক্তি, তথ্য-উপাত্ত, লগ বই, আদেশ, বিজ্ঞপ্তি, দলিল, নমুনা, পত্র, প্রতিবেদন, হিসাব বিবরণী, প্রকল্প প্রস্তাব, আলোক চিত্র, অডিও ভিডিও, অংকিত চিত্র, ফিল্ম, ইলেকট্রনিক প্রক্রিয়া প্রস্ত্ততকৃত যে কোন ইনস্ট্রুমেন্ট, যান্ত্রিক পাঠযোগ্য দলিলাদি এবং ভৌতিক গঠন ও বৈশিষ্ট্য নির্বিশেষে অন্য যে কোন তথ্যবহ বস্ত্ত বা এর প্রতিলিপিও অন্তর্ভুক্ত হবে। তবে দাপ্তরিক নোট সীট বা নোট সীটের প্রতিলিপি অন্তর্ভুক্ত হবে না।
উত্তরঃ তথ্য অধিকার আইনের ধারা ৩ অনুসারে কোন বিভাগীয় আইনের তথ্য প্রদানে বাধা সংক্রান্ত বিধানাবলী এই আইনের সাথে সাংঘর্ষিক হলে তথ্য অধিকার আইন প্রাধান্য পাবে।
উত্তরঃ তথ্য অধিকার (তথ্য প্রাপ্তি সংক্রান্ত) বিধিমালার বিধি ৩ (২) অনুসারে প্রাপ্তি স্বীকারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
উত্তরঃ ‘‘তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ এর ধারা ৪ অনুসারে কর্তৃপক্ষের নিকট হতে প্রত্যেক নাগরিকের তথ্য লাভের অধিকার রয়েছে এবং কোন নাগরিকের অনুরোধের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাঁকে তথ্য সরবরাহ করতে বাধ্য।
উত্তরঃ ধারা ৭ (৩) অনুযায়ী কোন ক্রয় কার্যক্রম সম্পূর্ণ হবার পূর্বে বা উক্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে সংশ্লিষ্ট ক্রয় বা এর কার্যক্রম সংক্রান্ত কোন তথ্য প্রদান করা বাধ্যতামূলক নয়।
উত্তরঃ তথ্য অধিকার আইনের ধারা ৭ এর উপধারা (জ), (ঝ), (ঞ) ও (দ) অনুসারে যথাক্রমে কোন তথ্য প্রকাশের ফলে কোন ব্যক্তির ব্যক্তিগত জীবনের গোপনীয়তা ক্ষুণ্ণ হতে পারে অথবা কোন তথ্য প্রকাশের ফলে কোন ব্যক্তির জীবন বা শারীরিক নিরাপত্তা বিপদাপন্ন হতে পারে অথবা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তার জন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক গোপনে প্রদত্ত কোন তথ্য অথবা কোন ব্যক্তির আইন দ্বারা সংরক্ষিত গোপনীয় তথ্য প্রদান করা বাধ্যতামূলক নয়।
উত্তরঃ কলেজের অধ্যক্ষ যে কোন বিভাগের একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ প্রদান করতে পারেন বা তিনি নিজেও দায়িত্বপালন করতে পারেন।
উত্তরঃ এই আইনের ধারা ৭ (ট) ও (ঠ) অনুযায়ী আদালতে বিচারাধীন কোন বিষয় যা প্রকাশে আদালত বা ট্রাইবুনালের নিষেদ্ধাজ্ঞা রয়েছে অথবা যার প্রকাশ আদালত অবমাননার শামিল এবং তদন্তাধীন কোন বিষয় যার প্রকাশ তদন্ত কাজে বিঘ্ন ঘটাতে পারে এইরূপ তথ্য প্রকাশের জন্য প্রদান বাধ্যতামূলক নয়।
উত্তরঃ এই আইনের ধারা ৭ (জ) ও (ঝ) অনুসারে ব্যক্তিগত তথ্যাদি প্রদান করা যাবে না।
উত্তরঃ পোষ্ট মর্টেম বা সুরতহাল রিপোর্ট চাওয়া যেতে পারে। তবে পোষ্ট মর্টেম বা সুরতহালের রিপোর্টটি কোন মামলার তদন্তাধীন বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত হলে এই আইনের ধারা ৭ (ঠ) অনুসারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা তথ্য প্রদান করতে বাধ্য নন।
উত্তরঃ ধারা ৭ (জ) ও (ঝ) অনুসারে ব্যক্তিগত তথ্য দেয়া বাধ্যতামূলক নয়।
উত্তরঃ রেকর্ড সংরক্ষণ করার প্রয়োজনে তথ্য প্রাপ্তির আবেদন লিখিতভাবে করতে হবে। ধারা ৮(৩) অনুসারে নির্ধারিত ফরমেট/মুদ্রিত ফরমে এবং ই-মেইলের মাধ্যমে তথ্য প্রাপ্তির অনুরোধ করা যাবে। তবে প্রদেয় তথ্যের প্রতি পৃষ্ঠায় প্রত্যয়নকারী কর্মকর্তার নাম, স্বাক্ষর, পদবী ইত্যাদি থাকতে হবে বিধায় মোবাইল ফোনে তথ্য দেয়ার সুযোগ নেই।
উত্তরঃ তথ্য অধিকার আইনের ৮নং ধারা অনুসারে লিখিতভাবে তথ্য প্রাপ্তির আবেদন করতে হবে। যাঁরা লেখাপড়া জানেন না তাঁদেরকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহযোগিতা প্রদান করবেন এবং প্রচলিত নিয়মানুযায়ী আবেদনে টিপসহি দিয়ে দাখিল করতে পারবেন।
উত্তরঃ ‘‘তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ এর ধারা ৯ অনুসারে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার করণীয় দিক নিম্নরূপঃ
A. দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাগরিকের অনুরোধ প্রাপ্তির তারিখ হতে অনধিক ২০ (বিশ) কার্যদিবসের মধ্যে অনুরোধকৃত তথ্য সরবরাহ করবেন। আ. অনুরোধকৃত তথ্যের সাথে একাধিক তথ্য প্রদান ইউনিট বা কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্টতা থাকলে অনধিক ৩০ (ত্রিশ) কার্যদিবসের মধ্যে উক্ত অনুরোধকৃত তথ্য সরবরাহ করতে হবে।
B. দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোন কারণে তথ্য প্রদানে অপারগ হলে অপারগতার কারণ উল্লেখ করে আবেদন প্রাপ্তির ১০ (দশ) কার্যদিবসের মধ্যে অনুরোধকারীকে অবহিত করবেন।
C. অনুরোধকৃত তথ্য কোন ব্যক্তির জীবন-মৃত্যু, গ্রেফতার এবং কারাগার হতে মুক্তি সম্পর্কিত হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অনুরোধ প্রাপ্তির অনধিক ২৪ (চবিবশ) ঘন্টার মধ্যে প্রাথমিক তথ্য সরবরাহ করবেন।
D. অনুরোধকৃত তথ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট সরবরাহের জন্য মজুদ থাকলে তিনি উক্ত তথ্যের যুক্তি সংগত মূল্য নির্ধারণ করবেন এবং উক্ত মূল্য ৫ (পাঁচ) কার্য দিবসের মধ্যে পরিশোধ করার জন্য অনুরোধকারীকে অবহিত করবেন।
E. অনুরোধকৃত তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে তৃতীয় পক্ষ জড়িত থাকলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অনুরোধ প্রাপ্তির ৫ (পাঁচ) কার্যদিবসের মধ্যে তৃতীয় পক্ষকে লিখিত বা মৌখিক মতামত চেয়ে নোটিশ প্রদান করবেন।
F. তৃতীয় পক্ষ নোটিশের প্রেক্ষিতে কোন মতামত প্রদান করলে তা বিবেচনায় নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অনুরোধকারীকে তথ্য প্রদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
G. তথ্য প্রকাশের জন্য বাধ্যতামূলক নয়, এরূপ তথ্যের সাথে সম্পর্কযুক্ত হবার কারণে কোন অনুরোধ সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করা যাবেনা এবং অনুরোধের যতটুকু অংশ প্রকাশের জন্য বাধ্যতামূলক নয় এবং যতটুকু অংশ যৌক্তিকভাবে পৃথক করা সম্ভব, ততটুকু অংশ অনুরোধকারীকে সরবরাহ করতে হবে।
H. দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইন্দ্রিয় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে তথ্য লাভে সহায়তা প্রদান করবেন। এই আইনের ধারা ৭ অনুযায়ী ২০টি বিষয়ে তথ্য প্রদান করা বাধ্যতামূলক নয় এবং ধারা ৩২ এর তফসিলে উল্লিখিত ০৮টি সংস্থাকে তথ্য প্রদানে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। তবে উক্ত সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কোন তথ্য দুর্নীতি বা মানবাধিকার লংঘনের ঘটনার সাথে জড়িত থাকলে তথ্য কমিশনের অনুমোদন গ্রহণপূর্বক উক্ত তথ্য সরবরাহ করতে হবে।
উত্তরঃ এই আইনের ধারা ৯ (১০) এ ইন্দ্রিয় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে তথ্য প্রদানে সহায়তার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিশেষ ভাবে বলা হয়েছে।
উত্তরঃ তথ্য অধিকার আইনের ধারা ১০ অনুসারে এই আইন কার্যকর হবার ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে প্রত্যেক কর্তৃপক্ষ প্রতিটি তথ্য প্রদান ইউনিটের জন্য একজন করে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করবে।
উত্তরঃ তথ্য অধিকার আইনের ধারা ৯ অনুসারে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তথ্য প্রদান করতে বাধ্য। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে তথ্য প্রদানে ব্যর্থ হলে ধারা ২৪ অনুযায়ী তথ্য প্রদানের সময়সীমা অতিক্রান্ত হবার পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে আপীল কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধকারী আপীল করতে পারবেন। আপীল আবেদন প্রাপ্তির পরবর্তী ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে আপীল কর্তৃপক্ষ আবেদনকারীকে অনুরোধকৃত তথ্য সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করবেন অথবা গ্রহণ যোগ্য না হলে আপীল আবেদনটি খারিজ করে দিবেন। আপীল কর্তৃপক্ষের আদেশে আবেদনকারী সংক্ষুব্ধ হলে ধারা ২৫ অনুসারে পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে তথ্য কমিশনে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন। তথ্য কমিশন অভিযোগটির সাথে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে শুনানীর সুযোগ দিয়ে ৪৫ (পাঁচচল্লিশ) দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত প্রদান করবে। তবে ক্ষেত্র বিশেষে সাক্ষীর জবানবন্দির গ্রহণ এবং তদন্ত সম্পাদন করার কারণে অভিযোগ নিষ্পত্তির সময়সীমা বর্ধিতকরা যেতে পারে। তবে বর্ধিত সময়সহ মোট সময় কোনক্রমেই ৭৫ (পঁচাত্তর) দিনের অধিক হবে না। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার জরিমানা করাসহ বিভাগীয় শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ প্রদান করতে পারবে।
উত্তরঃ তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ অনুযায়ী একই ব্যক্তি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা কর্তৃপক্ষ হওয়ার সুযোগ সীমিত।
উত্তরঃ এই আইনের ধারা ১১(২) অনুসারে তথ্য কমিশন একটি সংবিধিবদ্ধ স্বাধীন সংস্থা হিসেবে রাষ্ট্রপতির নিকট জবাবদিহি করবে। তথ্য মন্ত্রণালয় তথ্য কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করে।
উত্তরঃ এই আইনের ধারা ১৩ (ঙ) অনুযায়ী কোন ব্যক্তিকে ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য প্রদানের জন্য তথ্য কমিশনে কেউ অভিযোগ দায়ের করলে, কমিশন এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে উক্ত অভিযোগ গ্রহণ, অনুসন্ধান এবং নিষ্পত্তি করতে পারবে।
উত্তরঃ তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ এর ১৩ (ঙ) অনুসারে বিভ্রান্তমুলক তথ্য প্রদান করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে ধারা ২৭ (ঘ) ও (ঙ) অনুযায়ী তথ্য কমিশন জরিমানা ছাড়াও ধারা ২৭ (৩) বলে অসদাচারণ গণ্য করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর সুপারিশ প্রদান করতে পারবে।
উত্তরঃ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে তথ্য প্রদান না করলে ধারা ২৪ অনুসারে তথ্য প্রদানের সময়সীমা অতিক্রান্ত হবার পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে আপীল কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধকারী আপীল করতে পারবেন।
উত্তরঃ তথ্য অধিকার (তথ্য প্রাপ্তি সংক্রান্ত) বিধিমালা, ২০০৯ এর বিধি ৮ এর ফরম (ঘ) অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত আকারে প্রদান করা হয়েছে- (1) লিখিত কোন ডকুমেন্টের কপি সরবরাহের জন্য (ম্যাপ, নকশা, ছবি, কম্পিউটার প্রিন্টসহ)-এ-৪ ও এ-৩ মাপের কাগজের ক্ষেত্রে প্রতি পৃষ্ঠা ২ (দুই) টাকা হারে এবং তদূর্ধ্ব সাইজের কাগজের ক্ষেত্রে প্রকৃত মূল্য ।
(2) ডিস্ক, সিডি ইত্যাদিতে তথ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে-(ক) আবেদনকারী কর্তৃক ডিস্ক, সিডি ইত্যাদি সরবরাহের ক্ষেত্রে বিনা মূল্যে (খ) তথ্য সরবরাহকারী কর্তৃক ডিস্ক, সিডি ইত্যাদি সরবরাহের ক্ষেত্রে উহার প্রকৃত মূল্য।
(3) কোন আইন বা সরকারী বিধান বা নির্দেশনা অনুযায়ী কাউকে সরবরাহকৃত তথ্যের ক্ষেত্রে- বিনামূল্যে।
(4) মূল্যের বিনিময়ে বিক্রয়যোগ্য প্রকাশনার ক্ষেত্রে- প্রকাশনায় নির্ধারিত মূল্য।
উত্তরঃ তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ অনুসারে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সম্মানীর কোন ব্যবস্থা নেই।
উত্তরঃ বাংলাদেশ সরকারী মুদ্রাণালয়, ঢাকা কর্তৃক প্রকাশিত ‘‘তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ এর গেজেট ১২.০০ টাকা মূল্যে পাওয়া যাবে অথবা www.bgpress.gov.bd অথবা www.moi.gov.bd থেকে RTI Act, 2009 Bangla ও English নামে বিনামূল্যে download করা যাবে। এছাড়াও তথ্য কমিশন বাংলাদেশ কর্তৃক ‘‘তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯, তথ্য অধিকার (তথ্য প্রাপ্তি সংক্রান্ত) বিধিমালা, ২০০৯ এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর সম্বলিত একটি বই বিনামূল্যে বিতরণের জন্য প্রকাশ করা হয়েছে।
উত্তরঃ তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ এর বিধানাবলী সম্পর্কে পর্যায়ক্রমে জেলা/উপজেলায় জনঅবহিতকরণ ও মতবিনিময়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সমন্বিত প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল প্রণয়ন পূর্বক তথ্য কমিশন সরকারী/আধা-সরকারী/স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রশিক্ষণ একাডেমীগুলোতে অরিয়েনটেশন ট্রেনিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষিত করে গড়ে তোলার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তাছাড়া তথ্য কমিশন কার্যালয়ে পর্যায়ক্রমে মন্ত্রণালয়/বিভাগ/সংস্থাসমূহের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তৎপর জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক সহায়তায় তথ্য কমিশন জেলার সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
উত্তরঃ ‘‘তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ বাস্তবায়নে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। তাঁদের প্রচারের মাধ্যমে জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে ও প্রায়োগিক দিক উন্মোচিত হবে।
উত্তরঃ অবশ্যই পুলিশ ও র্যাবের নিকট তথ্য চাওয়া যাবে। তবে এই আইনের ধারা ৩২ এর তফসিল অনুযায়ী ‘‘স্পেশাল ব্রাঞ্চ, বাংলাদেশ পুলিশ’’ এবং ‘‘র্যাব এর গোয়েন্দা সেল’’ এর এর ক্ষেত্রে তথ্য অধিকার আইন প্রযোজ্য হবে না। তবে উক্ত সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কোন তথ্য দুর্নীতি বা মানবাধিকার লংঘনের ঘটনার সাথে জড়িত থাকলে তথ্য কমিশনের অনুমোদন গ্রহণপূর্বক উক্ত তথ্য সরবরাহ করতে হবে।/p>
উত্তরঃ সমগ্র দেশের জনগণের জন্য বর্তমান সরকার এই আইন প্রণয়ন করেছে। এই আইন বাস্তবায়নের দায়িত্ব শুধু তথ্য কমিশনের একার নয়, সবার। তথ্য কমিশন পর্যায়ক্রমে স্বল্পমেয়াদী, মধ্যমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে এ আইনের প্রচার ও প্রসার কল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক জনগণের দোড়গোঁড়ায় পৌঁছাবার সব রকম ব্যবস্থা করবে। তথ্য অধিকার আইন ব্যবহার করে জনগণ অবশ্যই সুফল পাবেন বলে তথ্য কমিশন বিশ্বাস করে।
উত্তরঃ কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান বা দপ্তর জনসাধরণকে কি কি সেবা কি কি পদ্ধতিতে বা শর্তে কত সময়ের মধ্যে প্রদান করে তা সিটিজেন চার্টার/নাগরিক সনদ দ্বারা প্রকাশ করে। ফলে জনগণ এর মাধ্যমে প্রতিটি অফিসে কর্মকান্ড সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়ে থাকেন। কাজেই এটিও তথ্য অধিকার বাস্তবায়নের একটি প্রায়োগিক দিক।
উত্তরঃ সরকার বলতে কোন একক ব্যক্তি বা অফিসকে বুঝায় না। সরকার হচ্ছে দেশ পরিচালনার একটি সামগ্রীক বিষয়। তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তথ্য প্রদান সংক্রান্ত আইন ভঙ্গ করলে এই আইনের বিধান অনুযায়ী তথ্য কমিশন প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত প্রদান করতে পারে। প্রয়োজনবোধে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জরিমানা করতে পারে। এমনকি কোন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তথ্য কমিশন অনুরোধ জানাতে পারে।